সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, সকাল ৫:০ সময়
সিংড়ার চৌগ্রাম ইউপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম
জানা যায়, সিংড়া উপজেলার দামকুড়ি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমান মিলন ১ জানুয়ারি কালীগঞ্জ বাজারের স্কুল রোডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম ভোলা ও তার সাথে থাকা লোকজন মিলনের ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে এবং তার বড় ভাই আওয়ামী লীগের নেতা আতাউর রহমান চান্দুকে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন মিলনকে উদ্ধার করে সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এই ঘটনায় রাতেই প্রধান শিক্ষক মিলন বাদি চৌগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলাসহ সাতজনকে আসামি করে সিংড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে সিংড়া থানা পুলিশ জাহেদুল ইসলাম ভোলা এবং তার ভাগিনা মাসুদকে আটক করে।
এ বিষয়ে মতিয়ার রহমান মিলন বলেন, বিদ্যালয় থেকে আমাকে সরিয়ে দেয়ার জন্য ভোলাসহ একটি চক্র আমাকে হত্যাসহ মারধরের হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি বৈধভাবে নিয়োগ পাওয়ার পরও তারা আমাকে এভাবে হত্যার চেষ্টা করছে।
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম ভোলা বলেন, মিলন ওই স্কুলের কেউ না। আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে একাধিকবার সালিশ করেছি। তাকে সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। সে স্কুলের কেউ না হয়েও বিভিন্নভাবে ঝামেলা তৈরি করছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলার কথা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ না দেয়ার কারণে একই উপজেলার বড়িয়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মারধর করার ঘটনা ঘটেছিল।